স্বাস্থ্যজ্জ্বল ত্বকের পিছনে গ্লুটাথায়ন এর অবদান জেনে অবাক হবেন

উজ্জ্বল, দাগহীন এবং স্বাস্থ্যজ্জ্বল ত্বক কে না চায়। আর মানুষের এই চাওয়া থেকেই নানা ধরনের অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট সমৃদ্ধ প্রোডাক্টের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তেমনই একটি ইনগ্রেডিয়েন্ট গ্লুটাথায়ন। অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর গ্লুটাথায়ন ত্বকের বাহ্যিক সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। 

এই গ্লুটাথায়ন সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো আজকের ব্লগে।

গ্লুটাথায়ন কি?

‘মাদার অফ অল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ বলা হয় গ্লুটাথায়নকে। গ্লুটাথায়ন মুলত তিনটি অ্যামিনো অ্যাসিড; গ্লুটামেট, সিস্টেইন এবং গ্লাইসিন এর সমন্বয়ে গঠিত ছোট একটি পেপটাইড মলিকিউল। এটি আমাদের শরীরে প্রাকৃতিক ভাবেই থাকে এবং একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।   

ত্বকের যত্নে গ্লুটাথায়ন

১। ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি 

ডার্ক স্পটস, হাইপারপিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে গ্লুটাথায়ন। মেলানিন প্রডাকশন কমিয়ে ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে। 

২। অ্যান্টি-এজিং এর কাজ 

তারুণ্য ধরে রাখতে দারুনভাবে উপকারী কোলাজেন। কিন্তু বয়সের সাথে সাথে শরীরে কোলাজেনের মাত্রা কমতে থাকে। একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে গ্লুটাথায়ন ত্বকের কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে। গ্লুটাথায়ন; কোলাজেন, ইলাস্টিন এবং অন্যান্য স্ট্রাকচারাল প্রোটিনের প্রোডাকশন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, যা আমাদের ত্বকের তারুণ্য ধরে রেখে বয়সের আগে বলিরেখা পরতে দেয়না।  

৩। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে

গ্লুটাথায়ন ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে এবং ত্বকের শুষ্কতা কমাতে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজিং এলিমেন্টগুলোর প্রোডাকশন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।    

৪। UV রশ্মির ক্ষতি থেকে সুরক্ষা

সূর্যের UV রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবের মতো পরিবেশগত বিভিন্ন কারণে আমাদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সৃষ্টি হতে পারে, যা বয়সের আগে ত্বকে বয়সের ছাপসহ ত্বকের আরও নানান ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। 

গ্লুটাথায়ন ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিকেল থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়। ফলে আমাদের ত্বক এসব ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। 

৫। ব্রণ এবং ব্রণের দাগ কমাতে

ব্রণ মুলত ত্বকের একটি প্রদাহ জনিত সমস্যা। গ্লুটাথায়নে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকায় এটি ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া গ্লুটাথায়ন ত্বকের মৃত কোষগুলো সরিয়ে, সেগুলো পূনর্গঠনে সহায়তা করে। ফলে ব্রণের দাগ ধীরে ধীরে হালকা হয়। 

গ্লুটাথায়ন কিভাবে ব্যবহার করবেন

আমাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবে যে গ্লুটাথায়ন থাকে, তা সময়ের সাথে সাথে কমতে থাকে। তাই ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায় দৈনন্দিন রুটিনে গ্লুটাথায়ন নানাভাবে অ্যাড করা যায়। যেমন;

১। ওরাল সাপলিমেন্ট 

গ্লুটাথায়ন ক্যাপসুল, ট্যাবলেট বা পাউডার আকারে পাওয়া যায়। ওরালি এগুলো গ্রহণ করলে আমাদের শরীরে থাকা গ্লুটাথায়নের প্রোডাকশন বৃদ্ধি পায়। তবে ওরাল সাপলিমেন্ট গ্রহণের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

২। স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েট

এমন অনেক ধরনের খাবার আছে যা আমাদের নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অ্যাড করলে শরীরে স্বাভাবিকভাবেই গ্লুটাথায়নের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যেমন ফলমূলের মধ্যে অ্যাভোকাডো, তরমুজ, কমলা, স্ট্রবেরি; শাকসবজির মধ্যে ফুলকপি, ব্রোকলি, পালং শাঁক ইত্যাদি। এছাড়া মাছ, গরু মাংস ও হাস-মুরগীর মাংসও গ্লুটাথায়ন প্রোডাকশন বাড়াতে পারে।

৩। গ্লুটাথায়ন সমৃদ্ধ প্রোডাক্ট

গ্লুটাথায়ন সমৃদ্ধ স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট গ্লুটাথায়ন আছে, এধরণের সিরাম, ময়েশ্চারাইজার, লোশন ব্যবহার করে মানুষ ডার্ক স্পটস, হাইপারপিগমেন্টেশন, আরলি এজিং সাইন এর মতো সমস্যাগুলো কমাতে পারছে।  

গ্রুমি’র ব্রাইটেনিং সিরাম এবং স্কিন রিজেনারিস্ট ময়েশ্চারাইজারটিও ঠিক সেরকমই দুটি প্রোডাক্ট।

গ্লুটাথায়ন, আলফা আরবুটিন ও হায়ালুরনিক অ্যাসিডের সমন্বয়ে তৈরি গ্রুমি’র সিরামটি ডার্ক স্পটস, হাইপারপিগমেন্টেশন ও একনি মার্কস হালকা করে ত্বক ব্রাইট এবং গ্লোয়িং করতে সাহায্য করে।

এবং ময়েশ্চারাইজারটি তৈরি গ্লুটাথায়ন ও কোলাজেনের সমন্বয়ে। এটি ত্বককে প্রপারলি হাইড্রেটেড রেখে, বয়সের আগে ত্বকে বলিরেখা পরতে দেয়না। সেই সাথে কোলাজেন প্রোডাকশন বুস্ট করে ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। 

গ্লুটাথায়নের ভ্যারিয়াস বেনিফিটগুলো আজকের ব্লগে জানানোর চেষ্টা করলাম। আশা করছি এই লেখাটি গ্লুটাথায়ন বেইজড প্রোডাক্ট পারচেজের ক্ষেত্রে আপনাদের কাজে আসবে।  

গ্রুমি ব্রাইটেনিং সিরাম, গ্রুমি স্কিন রিজেনারিস্টসহ স্কিন কেয়ারের অথেনটিক সব প্রোডাক্ট পেতে ভিজিট করুন mygroome.com এ। অথবা অর্ডার করুন ফেসবুক পেজ Groome থেকে।

                                                   লিখেছেন আফরোজ জান্নাত হৃদিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *